Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
২৫০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১০০ বোতল ফেন্সিডিল এবং একটি পিকআপ গাড়িসহ গ্রেফতার ০৪ জন
বিস্তারিত

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, “ক” সার্কেল, জেলা কার্যালয়, রাজশাহী কর্তৃক এয়ারপোর্ট, বাঘা এবং পুঠিয়া থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪ (চার) জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার এবং পলাতক একজন।


মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, “ক” সার্কেল, জেলা কার্যালয়, রাজশাহী এর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারীর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, “ক” সার্কেল, জেলা কার্যালয়, রাজশাহী এর পরিদর্শক জনাব মোঃ রায়হান আহমেদ খান এঁর নেতৃত্বে ১১/০৭/২৩ ইং তারিখ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে নিম্নবর্ণিত এলাকা হতে আসামীদেরকে নিম্নবর্ণিত আলামতসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।


১। এয়ারপোর্ট থানাধীন বায়া নামক এলাকা হতে আসামী আলী আজগর মোল্লা (২২), পিতা- মোঃ ডালিম মোল্লা, সাং- পশ্চিম রাজৈর, থানা- রাজৈর, জেলা- মাদারীপুরকে ১০০ (একশত) বোতল ফেন্সিডিল, পিকআপ গাড়ি ১টি, খালি ক্যারেট ৩৬টি সহ গ্রেফতার।

 

২। পুঠিয়া থানাধীন বানেশ্বর বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে আসামী মোসাম্মৎ লিপি আক্তার (২৯), পিতা- মৃত হোসেন মোহাম্মদ, স্বামী- মৃত তাজুল ইসলাম, সাং- পূর্ব ডেকরা, থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা- ‍কুমিল্লা ও মো: সাব্বির হোসেন (২৩), পিতা- মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাং- পশ্চিম ভরনশাহী, থানা- ধুনট, জেলা- বগুড়া দ্বয়কে (১০০০+১০০০)= ২০০০ (দুই হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার করা হয়।

 

৩। কুমিল্লা জেলা হতে মোঃ নেছার আহম্মদ (৩৯), পিতা- মোঃ আব্দুল হাই, মাতা- মোসা: আমেনা বেগম, সাং- পূর্ব নতুনবাড়ী, বান্দুয়াইন, থানা- মনোহরগঞ্জ, জেলা- কুমিল্লা ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে বাঘা থানাধীন হিলালপুর গ্রামের মোঃ বুলবুল আহম্মদ (২৭), পিতা- মোঃ ইদ্রিস আলী, সাং- হিলালপুর, থানা- বাঘা, জেলা- রাজশাহীর বাড়ীতে আসিলে অভিযান পরিচালনার সময় মোঃ বুলবুল আহম্মদ প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। অত:পর বুলবুল আহম্মদ এর বসতবাড়ী তল্লাশী করে ২৩০০০ (তেইশ) হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। এ সময় নেছার আহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। 


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত পাশ্ববর্তী দেশ মায়ানমার থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ভারত থেকে ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে এবং তা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবারহ ও বিক্রি করে।  আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্র্ণ তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে, যেগুলো বিশ্লেষণ করে এই নেটওয়ার্কের অন্যদেরকেও নজরদারির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনা হবে।


             গ্রেফতারকৃত আসামীদের এবং পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, “ক” সার্কেল, জেলা কার্যালয়, রাজশাহী কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


            মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধ পরিকর।

ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
12/07/2023
আর্কাইভ তারিখ
31/07/2023